শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য EUR/USD পেয়ারের মতই অতি সামান্য মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে — কার্যত তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি, আর খুবই স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করেছে। এই ধরনের পরিস্থিতি খুব একটা অস্বাভাবিক নয়, কারণ গত সপ্তাহজুড়ে কেবল মঙ্গলবারই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব বজায় ছিল, বুধবার ট্রেডিং সেশন আগেভাগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং বৃহস্পতিবার ছুটির দিন ছিল। এই সপ্তাহেও অনুরূপ পরিস্থিতি প্রত্যাশিত। একদিকে, সামষ্টিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব কার্যত অনুপস্থিত; বুধবারের ট্রেডিং সেশন সংক্ষিপ্ত হবে; বৃহস্পতিবার আবার ছুটি রয়েছে; এবং শুক্রবার সম্ভবত মার্কেট বন্ধ থাকবে। সুতরাং, সোমবার এবং মঙ্গলবার কিছুটা মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে এরপর মার্কেটে আবার ছুটির মৌসুমের প্রভাব দেখা যাবে। ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বজায় রয়েছে, তাই স্বল্পমেয়াদেও নতুন ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখতে পারেন — দীর্ঘমেয়াদের কথাই না বললাম। তবে, আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মূল প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্টগুলো ৫ জানুয়ারি থেকে পুনরায় শুরু হতে পারে, যখন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে শুরু করবে এবং ক্রিসমাস ও নববর্ষের ছুটির রেশ কাটিয়ে মার্কেটে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী, শুক্রবার একটি সেল সিগনাল গঠিত হয়েছিল, যদিও সেটিতে সামান্য পর্যায়ের ত্রুটি ছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় এই পেয়ারের মূল্য 1.3529 লেভেল থেকে বাউন্স করে প্রায় ৩০ পিপস নিচে কমে গিয়েছিল — যা নতুন ট্রেডাররা পজিশন ওপেন করে অর্জন করতে পারতেন। ছুটির মৌসুম চলাকালে এই ধরনের লাভ বেশ চমৎকার অর্জন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং এখন এই পেয়ারের মূল্য পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। আমরা পূর্ববর্তী আলোচনার ভিত্তিতে এই পরিস্থিতিকে যৌক্তিক বলে মনে করছি। মধ্যমেয়াদে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য বৈশ্বিকভাবে কোনো শক্তিশালী কারণ নেই; তাই আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। সামগ্রিকভাবে, আমরা ধরে নিচ্ছি যে ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় প্রত্যাবর্তন ঘটবে, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.4000 লেভেল পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যদি মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয় তাহলে নতুন ট্রেডাররা নতুন লং পজিশন ওপেন করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন, যেখানে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3574–1.3590-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া থেকে নতুন করে বাউন্স করে, তাহলে নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, যেখানে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3437–1.3446-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী, বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিংয়ের সুযোগ তৈরি হতে পারে: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3212, 1.3259-1.3267, 1.3319-1.3331, 1.3437-1.3446, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। সোমবার যুক্তরাজ্য অথবা যুক্তরাষ্ট্র — কোনো দেশেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই বা কোনো প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। ফলে, মার্কেটে দুর্বল মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে। বর্তমানে "থিন" মার্কেট পরিলক্ষিত হচ্ছে, যার মানে মার্কেট মেকাররা তুলনামূলকভাবে সহজেই মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে — যদিও এর মানে এই নয় যে, তারা নিশ্চিতভাবে তেমনটি করতে চায়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।