বৃহস্পতিবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল, যদিও গতকাল এই পেয়ারের মূল্য আরেকবার অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছিল। ইউরোপীয় মুদ্রা আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে; দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান বজায় রেখেছে এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বহাল রয়েছে। অতএব, আমরা এখনো শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। গতকাল এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে খুব সামান্যই যৌক্তিকতা ছিল। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক এবং ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই সকাল থেকেই ট্রেডাররা ইউরো বিক্রি করতে শুরু করে। এর মানে, ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের অপেক্ষাও করেননি, বরং তাঁরা ফেডের বৈঠকের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছিলেন, যেটিকে একেবারে "ব্যাপকভাবে ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান বলা যাবে না। পরবর্তীতে, জার্মানি ও ইউরোজোন থেকে প্রকাশিত জিডিপির প্রতিবেদনের ফলাফল নতুন কোনো সংকটের ইঙ্গিত দেয়নি। জার্মানির বেকারত্বের হারও হতাশাজনক ছিল না। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতিও প্রত্যাশার চেয়ে কম এসেছে। তাই, কোনো প্রতিবেদন থেকেই ইউরোর দরপতনের সঠিক কারণ দেখা যায়নি। একই কথা ইসিবির বৈঠকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, ট্রেডাররা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিল, ঠিক সেরকম সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়ার নিচে এসে স্থির হয়, এবং এরপরই সকল মুভমেন্টের সমাপ্তি ঘটে। তাই, নতুন ট্রেডারদের পক্ষে এই একটি শর্ট পজিশন থেকে লাভ করা কঠিন ছিল, তবে লোকসানও হয়নি, কারণ মূল্য এই এরিয়াটির আশপাশেই ছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, আবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন চলমান থাকার ইঙ্গিত পরিলক্ষিত হচ্ছে। নতুন করে এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছে, এবং সামগ্রিক মৌলিক ও আর্থিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। সুতরাং, টেকনিক্যাল দিক থেকে ইউরোপীয় মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের গঠন ও সেখানে অবস্থান করার প্রবণতা এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে, তাই আমরা প্রতীক্ষা করছি কখন এই প্রবণতা শেষ হবে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন, যেখানে এই মুহূর্তে এই পেয়ারের মূল্য অবস্থান করছে। এই এরিয়া থেকে মূল্য বাউন্স করলে সেটি শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.1527-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এই এরিয়ার ওপর কনসোলিডেশন হলে সেটি লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে মূল্যের 1.1655-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য আপনি এই লেভেলগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988।
শুক্রবার ইউরোজোনে মাত্র দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে গতকাল মার্কেটে প্রকাশিত আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডাররা কার্যত উপেক্ষা করেছে। আজ, জার্মানির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের এবং ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের প্রকাশিত হবে। এটি মনে রাখা জরুরি যে, ইসিবির আর্থিক নীতিমালায় বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব খুবই সামান্য।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।