Jedna z divizí Credit Suisse se v pondělí přiznala k vině v případu, v němž byla obviněna z napomáhání ultra bohatým Američanům při daňových únicích, a zaplatí pokutu ve výši více než 510 milionů dolarů, oznámilo v pondělí americké ministerstvo spravedlnosti.
Credit Suisse Services AG se přiznala k vině a byla v pondělí odsouzena za spiknutí s cílem skrýt před americkým daňovým úřadem více než 4 miliardy dolarů na nejméně 475 offshore účtech, uvedlo ministerstvo.
Přiznání viny vyplývá z toho, že švýcarská banka vedla v Singapuru účty jménem amerických daňových poplatníků, kteří offshore účty využívali k daňovým únikům a vyhýbání se povinnosti podávat daňová přiznání, uvádí se v tiskové zprávě.
„Mezi další podvodné činy bankéřů Credit Suisse patřilo falšování záznamů, zpracování fiktivních darovacích dokumentů a správa účtů v hodnotě více než 1 miliardy dolarů bez dokladů o splnění daňových povinností,“ uvedlo ministerstvo spravedlnosti. “Tímto jednáním se Credit Suisse AG dopustila nových trestných činů a porušila dohodu o přiznání viny uzavřenou s USA v květnu 2014.“
V roce 2014 se Credit Suisse stala největší bankou za posledních 20 let, která se přiznala k trestnému činu v USA, a souhlasila s zaplacením pokuty ve výši 2,5 miliardy dolarů za pomoc Američanům při daňových únicích v rámci konspirace, která trvala desítky let.
Před pondělním urovnáním americký Senátní výbor pro finance v roce 2023 shledal, že Credit Suisse porušila dohodu z roku 2014 uzavřenou s americkými úřady tím, že pokračovala v pomoci s daňovými úniky a skrývala před vládou více než 700 milionů dolarů.
UBS v pondělí uvedla, že Credit Suisse Services AG se přiznala k jednomu bodu obžaloby ze spiknutí za účelem napomáhání a pomoci při přípravě falešných daňových přiznání.
ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংকটের ঝুঁকি যখন ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সরকারের শাটডাউনের দিকেই মোড় নিয়েছে, তখন ইউরোর দর দ্রুতই মার্কিন ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) দুই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, মুদ্রাস্ফীতি এখন এমন কোনো গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে না—কোনোদিক থেকেই নয়—যার ফলে তারা সুদের হার পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনই কোনো সম্ভাবনা প্রকাশ করছেন না। এই অবস্থান ইউরোপীয় মুদ্রার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ানোর একটি অতিরিক্ত কারণ হিসেবে কাজ করছে। ইসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস দে গিনদোস এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইন স্বীকার করেছেন যে একাধিক উপাদান এখন মূল্যস্ফীতিকে উভমুখীভাবে প্রভাবিত করছে।
সোমবার মাদ্রিদে এক সম্মেলনে লুইস দে গিনদোস বলেন, "আমরা বলতে পারি যে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকিগুলো এখন অনেকটাই ভারসাম্যপূর্ণ—আমরা আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলছি এবং মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও নিশ্চিত করা সম্ভব। আমরা আমাদের মুদ্রানীতির বর্তমান অবস্থানকে গ্রহণযোগ্য হিসেবেই বিবেচনা করছি। এর পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির হার, আমাদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস এবং মুদ্রানীতি পরিবর্তনের কার্যকারিতা।"
বিনিয়োগকারীরা এ বক্তব্যগুলোর প্রতি সতর্ক আশাবাদের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এটিকেই সুদের হার কমানোর সংকেতের অনুপস্থিতি হিসেবে দেখছেন, যা ইউরোপীয় অ্যাসেটের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, ইসিবি এখন থেকে সুদের হার পরিবর্তনের পূর্বে আগত প্রতিবেদনের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। ইসিবির বেশিরভাগ নীতিনির্ধারক মনে করছেন তারা তাদের বর্তমান মুদ্রানীতির কাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট এবং নতুন করে নীতিমালা নমনীয় করতে হলে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের এতটাই ভিন্ন ধরনের ফলাফল আসতে হবে, যা এ মুহূর্তে তাদের মূল্য পূর্বাভাসের বাইরে।
ইসিবির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর মুদ্রাস্ফীতি ১.৭%-এ নেমে আসবে এবং এরপর ২০২৭ সালে তা আবার ১.৯%-এ ফিরে যাবে। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে—যা মূলত জার্মানি এবং অন্যান্য দেশগুলোর বাজেট ব্যয় বৃদ্ধির কারণে হবে।
ফিলিপ লেইন উল্লেখ করেন—যদিও এই মুহূর্তে তিনি আরও নমনীয় আর্থিক নীতিমালার পক্ষে নন, কিন্তু নীতিনির্ধারকদের সামনে দুটি বিকল্প খোলা রয়েছে: সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা অথবা আরও কমানো। তিনি বলেন, "যদি মুদ্রাস্ফীতির হার নিম্নমুখী বা উর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, তাহলে একটু হ্রাসকৃত সুদের হার মধ্যমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা আরও ভালোভবে অর্জনে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।"
ফ্রাঙ্কফুর্টে এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইন আরও উল্লেখ করেন, "পদ্ধতিগতভাবে, আমাদের মুদ্রানীতি এমন হতে হবে যাতে এটি মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের প্রতি যথাযথভাবে সাড়া দিতে পারে।"
EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র
বর্তমানে ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1720 লেভেল ব্রেক করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কেবল এই লেভেল ব্রেক করা গেলে 1.1745 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1775 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ক্রেতাদের সহায়তা ছাড়া এই লেভেলে পৌঁছানো কঠিন হবে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1820 লেভেল।
যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1685-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করছি। সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না হলে, 1.1655-এর লেভেল রিটেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই সঙ্গত হবে অথবা 1.1610 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র
পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য এই মুহূর্তে মূল লক্ষ্য হলো 1.3500 লেভেলের নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এই লেভেল ব্রেক করলে এই পেয়ারের মূল্য 1.3540-এ পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে, তবে এর পরে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া যথেষ্ট কঠিন হবে। দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3565 লেভেল।
যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.3460 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইবে । যদি তারা সেখানে নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত যেতে পারে এবং সেখান থেকে সম্ভাব্যভাবে 1.3365 পর্যন্তও নেমে যেতে পারে।