ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3469-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড কেনার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 30 পিপসের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মার্কিন পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সূচকটির ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল, যা ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলারকে দুর্বল করেছে। একই সঙ্গে, এ মাসেই ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সংযত ছিল, কারণ বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পেরেছে যে ফেড সতর্কভাবে পদক্ষেপ নেবে, নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করবে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন করবে। সুদের হার হ্রাসকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আস্থাকে দুর্বল করতে পারে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও সতর্ক মুদ্রানীতির প্রত্যাশার সাথে সম্পর্কিত। যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি এখনও স্থায়ীভাবে উচ্চস্তরে রয়ে গেছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে হকিশ বা কঠোর অবস্থান বজায় রাখতে বাধ্য করছে। সুদের হারের পার্থক্য পাউন্ডের পক্ষে থাকায় এটি ডলারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
আজ যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হবে। সর্বপ্রথম ন্যাশনওয়াইড আবাসন মূল্য সূচক এবং ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং সবশেষে অনুমোদিত মর্টগেজ ঋণ এবং M4 মানি সাপ্লাই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ন্যাশনওয়াইড আবাসন মূল্য সূচক সামান্য বৃদ্ধি পাবেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা যুক্তরাজ্যের আবাসন বাজারে ধারাবাহিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে ঋণের উচ্চ ব্যয় ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলায় প্রবৃদ্ধির হার আগের সময়ের তুলনায় মন্থর হতে পারে।
ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচকটি সম্ভবত 50-এর নিচেই থাকবে, যা যুক্তরাজ্যের শিল্পখাতের চলমান চ্যালেঞ্জের বিষয়টি তুলে ধরে। গত মাসের তুলনায় সূচকটির সামান্য উন্নতি মার্কেটের ট্রেডাররা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে, যদিও মার্কেটে এই পেয়ারের উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।
সামগ্রিকভাবে, আজ প্রকাশিতব্য যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে। তাই ট্রেডারদের উচিত এই সূচকগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা, যাতে ফরেক্স মার্কেটে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও সুযোগগুলো মূল্যায়ন করা যায়।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।

বাই সিগন্যাল
- পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3559-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3527-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3540-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
- পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3504এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3527 এবং 1.3559-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
- পরিকল্পনা #1:আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3504-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচে নেমে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3469-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের বিক্রেতারা মার্কেটে সক্রিয় হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
- পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3527-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3504 এবং 1.3469-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।

চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।