Americké akcie v pátek klesly pod tíhou neuspokojivých podnikových výsledků, zatímco investoři posuzovali výhled budoucí politiky Federálního rezervního systému.
V 17:35 SEČ klesl index Dow Jones Industrial Average o 345 bodů, tj. o 0,8 %, index S&P 500 o 55 bodů, tj. o 1 %, a index NASDAQ Composite o 200 bodů, tj. o 1,1 %.
সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হয়েছে। ট্রেডাররা সম্ভবত এরই মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে মার্কিন ডলারের মূল্যের আর শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যাবে না, কিন্তু আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম যে বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার খবর আসে যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ৯০ দিনের জন্য 115% হারে শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এটি এখনো বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি নয়, তবে এটি একটি বড় অগ্রগতি। সংক্ষেপে মনে করিয়ে দিই: এর আগে ট্রাম্প ৭৫টি দেশের উপর একটি গ্রেস পিরিয়ড চালু করেন, যার আওতায় 10% হারে শুল্ক আরোপিত হয়, এবং পরে তিনি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যদিও এসব পদক্ষেপ এখনো পুরোপুরিভাবে বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি নির্দেশ করছে না, তবে এগুলো একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ কারণেই এই ধরনের সংবাদের প্রভাবে ডলারের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনো এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর অন্যান্য সব বিষয়ের প্রভাব অত্যন্ত সীমিত।
সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। টেকনিক্যালি এই পেয়ার সঠিকভাবে ট্রেড করেছে, যার ফলে নতুন ট্রেডারদের জন্য বেশ কার্যকর পজিশন নেওয়ার সুযোগ ছিল। দিনের বেলায় একটিও ভুল সিগন্যাল গঠিত হয়নি। যদি ট্রেডাররা সবগুলো সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রেড করতেন, তাহলে মোট পাঁচটি ট্রেড থেকে প্রায় 160 পিপস লাভ করা যেত।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অবশেষে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা দেখা যেতে শুরু করেছে। মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে এখনো মার্কিন ডলারের বিরুদ্ধে প্রবল নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে, তবে যেহেতু ট্রাম্প নিজেই বাণিজ্য সংঘাতের প্রশমন ঘটাচ্ছেন, তাই অদূর ভবিষ্যতে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হতে পারে। ডলারের মূল্যের এই রিবাউন্ড কতটা জোরালো হবে, তা নির্ভর করছে ট্রাম্প কতগুলো চুক্তি সফলভাবে স্বাক্ষর করতে পারেন তার উপর।
মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য আরও কমে যেতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের খবর একটি উল্লেখযোগ্য ও প্রবণতা-পরিবর্তনকারী অগ্রগতি, যা ডলারের পক্ষে যাচ্ছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এটি উপেক্ষা করতে পারবে না।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা যেতে পারে: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1191–1.1198, 1.1275–1.1292, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622।
মঙ্গলবার ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন, তবে এখন মার্কেটের ট্রেডারদের মনোযোগ সম্পূর্ণরূপে ফেডের আর্থিক নীতিমালার দিকে নয়—বরং বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত অগ্রগতির দিকেই রয়েছে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।