সোমবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মানে কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ওপর ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব পড়বে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। প্রতিটি সূচকেরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে; তবে, মার্কিন ISM সূচক সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশ করা হবে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক। তাই, সোমবার অত্যন্ত অস্থির ট্রেডিং দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের দিক থেকে, সোমবারের জন্য তেমন কোনো বড় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, উইকেন্ডে ঘটে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মার্কেটে শক্তিশালী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। শনিবার রাতে, হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত, এই দুই নেতা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। আলোচনায় উভয় দেশের প্রধানের মধ্যে মতোবিরোধ সৃষ্টি হয় এবং তারা যে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন, সেটি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। জেলেনস্কি হতাশ হয়ে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন, এবং ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেনের জন্য সকল প্রকার আর্থিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা মনে করি যে মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার মুহূর্ত থেকেই, অথবা সোমবার এশিয়ান সেশনে ফরেক্স মার্কেটে এই ঘটনাটি প্রভাব ফেলতে পারে।
সামগ্রিকভাবে, সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ বেশিরভাগ বিষয়ই নিম্নমুখী প্রবণতার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে, মার্কেটে সেশন শুরু হওয়ার সময় ট্রেডারদের সম্ভাব্য গ্যাপ এবং এশিয়ান সেশনের উচ্চ অস্থিরতার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। দৈনিক ট্রেডিংয়ের পুরোটা সময় জুড়ে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বাজার পরিস্থিতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যার ফলে সোমবার কিছুটা অনিশ্চিত