শুক্রবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল, যা ট্রেন্ডলাইন ব্রেক হওয়ার পর শুরু হয়েছিল। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, ইউরোর দরপতন প্রত্যাশিত এবং যৌক্তিক ছিল। শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের ক্ষেত্রে, ট্রেডারদের কাছে এর প্রভাব সম্পর্কে পূর্বানুমান করার যথেষ্ট কারণ ছিল। তবে, বাস্তবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। শুক্রবার রাতের শেষ ভাগে এই পেয়ারের মূল্যের সবচেয়ে বেশি অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে, যদিও ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রের সকল গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অনেক আগেই প্রকাশিত হয়েছিল।
এছাড়াও, জার্মানির অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল কোনো চমক দেখাতে পারেনি। দেশটির বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির হার পূর্বাভাস অনুযায়ী এসেছে। খুচরা বিক্রয়ের ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও, এগুলো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়নি এবং ট্রেডিংয়ের ওপর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি।
শুক্রবার, ৫-মিনিটের চার্টে কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। মূল্য একবার 1.0359 এর লেভেল টেস্ট করে এবং সেখান থেকে রিবাউন্ড করে। তবে, মার্কেটে সেশন শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে সোমবার একটি গ্যাপ দিয়ে ট্রেডিং শুরু হতে পারে।
এখনো মাঝারি-মেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, এবং দৈনিক চার্টে রেঞ্জ-ভিত্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগের মতোই, ইউরোর আরও দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মার্কিন ডলারের পক্ষে বেশি অনুকূল। মূল নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে আরও কয়েকবার প্রবণতার পরিবর্তন দেখা যেতে পারে, তবে স্বল্পমেয়াদে স্থানীয় পর্যায়ে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি।
সোমবার ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে মূল্য কোথায় অবস্থান করবে তা গুরুত্বপূর্ণ হবে। শনিবার রাতে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ঘিরে একটি ছোটখাটো রাজনৈতিক বিতর্ক দেখা গেছে, যা সোমবার ট্রেডিং শুরু হলে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
৫-মিনিটের চার্টে সোমবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851।
সোমবারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানি, ইউরোজোন, এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। মার্কিন ISM সূচকের ওপর বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হবে। ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা ইউরোর মূল্যের ওপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।