যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবার 1.0388 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রি করিনি। তবে, অল্প সময়ের মধ্যে 1.0388 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টটি ঘটে, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল। এটি বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 অনুসারে ট্রেডিংয়ের সুযোগ তৈরি করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য 35-পিপস বৃদ্ধি পায়।
ইউরো এখনো চাপের মধ্যে রয়েছে এবং এটির মূল্য একটি সংকীর্ণ ট্রেডিং রেঞ্জের মধ্যে ওঠানামা করছে, যা গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাবকে নির্দেশ করে। ফেডারেল রিজার্ভের গতকালের বৈঠকের পর, যেখানে ট্রেডারদের অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের কৌশল পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছিল, অনেক ট্রেডার ফরেক্স মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
আজ, ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোজোনের GDP প্রতিবেদন। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ এটি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হারের ব্যাপারে আরও নমনীয় নীতি গ্রহণ করতে প্ররোচিত করতে পারে। এছাড়াও, এই অঞ্চলের কিছু দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যদি অর্থনৈতিক সূচকের দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়, তাহলে এটি ইউরোর উপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে, অন্যদিকে ইতিবাচক ফলাফল ইউরোর প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে।
আজ, ইসিবি মূল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে, যেখানে সুদের হার 2.9% এ নামিয়ে আনার প্রত্যাশা রয়েছে। ইসিবির সুদের হারের এই হ্রাস ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, যা ইউরোর বিনিময় হার এবং বন্ডের ইয়েল্ডকে প্রভাবিত করতে পারে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল ইউরোজোনের অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করা, যা বর্তমানে প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতির সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়াও, ভবিষ্যতে সুদের হার কবে কমতে পারে, সে সম্পর্কে ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আমার দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি পরিকল্পনা 1 এবং 2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0476-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0433 এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0476 পয়েন্টে গেলে, আমি লং পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ: কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0414-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0433 এবং 1.0476-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0414 এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0370-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র নিচের দিকে যেতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0433-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0414 এবং 1.0370-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।