ইউরো এখনও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, এবং এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে, যা নিয়ে আমরা পরে আলোচনা করব। অন্যদিকে, পাউন্ডের মূল্য বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে, এটির মূল্য হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে এবং আরও বুলিশ প্রবণতা বিকাশের সম্ভাবনা ধরে রেখেছে।
গতকাল প্রকাশিত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে দেশটির মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার মধ্যে রয়েছে, তবে এটি এখনও মার্কিন নীতিনির্ধারকদের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। কেউ কেউ এটিকে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সংকেত হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে, কিছু বিশেষজ্ঞ তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। এটি জানা দরকার যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিটি সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং এর সম্ভাব্য পরিণতির আরও বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করবে। ভোক্তা পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে: সুদের হার হ্রাস মুদ্রাস্ফীতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, সতর্ক এবং নমনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাই হোক না কেন, আগামী সপ্তাহে ফেডের পরবর্তী পদক্ষেপ কারেন্সি মার্কেটে জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হবে।
আজকের দিনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ট্রেডাররা ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্পষ্ট সংকেত প্রত্যাশা করছেন। সুদের হারের বিষয়ক সিদ্ধান্ত বাজার পরিস্থিতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং সুদের হার কমানোর যেকোনো ইঙ্গিত ইউরোর দরপতন ঘটাতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বৈঠক পরবর্তী বক্তব্য থেকেও ইঙ্গিত ও পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ পুনরুজ্জীবিত হওয়ার বিষয়টি অনেকাংশে আর্থিক নীতিমালার উপর নির্ভর করবে।
দুর্ভাগ্যবশত, আজ যুক্তরাজ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। তবে, এটি ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে গত সপ্তাহের সর্বোচ্চ লেভেলে নিয়ে আসার সম্ভাবনাকে বাঁধাগ্রস্ত করবে না। নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া সত্ত্বেও, ট্রেডাররা প্রতিটি দরপতনে পাউন্ড কিনছেন, যা এই পেয়ারের আরও বুলিশ প্রবণতা বিকাশের সম্ভাবনা বজায় রাখছে।
যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে মিন রিভারশন কৌশল ব্যবহার করা সর্বোত্তম। যদি প্রতিবেদনের ফলাফল উল্লেখযোগ্যভাবে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বা কম হয়, তবে মোমেন্টাম কৌশল প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মোমেন্টাম কৌশল (ব্রেকআউট):
EUR/USD পেয়ারের জন্য:
GBP/USD পেয়ারের জন্য:
USD/JPY পেয়ারের জন্য:
মিন রিভারশন কৌশল:
EUR/USD পেয়ারের জন্য:
GBP/USD পেয়ারের জন্য:
AUD/USD পেয়ারের জন্য:
USD/CAD পেয়ারের জন্য: